• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৮ই আষাঢ় ১৪৩২ বিকাল ০৪:৫৮:০২ (22-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বালাৎকারের অভিযোগ, রাতের আঁধারে মীমাংসার চেষ্টা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বালাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। পরে সেই ঘটনা ধামচাপা দিতে রাতের আঁধারে মীমাংসার চেষ্টা করেন স্থানীয় মাতব্বররা। এমন একটি ভিডিও ২১ জুন শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটেছে।অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. মাহাবুব হুসাইন অরফে মাহে আলম, তিনি বগদুলঝুলা হাজীপাড়া আমিরিয়া একরামিয়া নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মুহতামিম।ভুক্তভোগী ছাত্র ও তার অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, বড়শশী ইউনিয়নের নাওতরি সুইয়ের পাড় গ্রামের ৮ বছর বছর বয়সী সেই শিশুটি পার্শ্ববর্তী বগদুলঝুলা হাজীপাড়া আমিরিয়া একরামিয়া নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে কায়দা শ্রেণীতে পড়ার সুবাদে অন্যান্য শিশুদের সাথে সেখানেই থাকতো। একই ঘরে রাতে শিশুরা মেঝেতে আর শিক্ষক ঘরের একদিকে কালো কাপড়ের পর্দা বেষ্টিত খাটে ঘুমাতেন।কোরবানী ঈদের আগে ২ জুন রাতে অন্যান্য দিনের মতো শিশুরা যখন ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, তখন অভিযুক্ত শিক্ষক মাহে আলম পার্শ্ববর্তী লিচুর গাছ থেকে ছাত্রদের লিচু পেড়ে আনতে নির্দেশ দেন। এরপরে সবাই মিলে লিচু খাওয়া-দাওয়া শেষে নির্যাতনের শিকার শিশুটি কালো পর্দার ভেতর থেকে ময়লা ফেলার জন্য ঝুড়ি আনতে গেলে সেখানেই সে শিক্ষক মাহে আলমের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়।ভয়ভীতি দেখিয়ে বালাৎকার করা হয় তাকে। বালাৎকারের পর প্রচন্ড যন্ত্রণায় যখন কাতরাচ্ছিল শিশুটি তখন তাকে ব্যাথানাশক ওষুধ খাইয়ে কাউকে ঘটনা বললে মেরে ফেলার ভয় দেখান হুজুর। এরপরের দিন ঈদ উপলক্ষে মাদ্রাসা ছেড়ে বাড়িতে যায় শিশুটি। ছুটি কাটানোর পুরোটা সময় ভয়ে সে কাউকে কিছু বলতে না পারলেও ছুটি শেষে মাদ্রাসায় ফিরে যেতে যখন চাপ দেওয়া হয় পরিবার থেকে তখন ভয়ে কাঁদতে থাকে সে, আপত্তি জানায় ফিরে যেতে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটির বাবা যখন শিশুটিকে মারতে উদ্যত হয় তখন কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি বাধ্য হয় মাদ্রাসায় ফিরে যাওয়া নিয়ে তার ভয়ের আসল কারণ পরিবারের সামনে তুলে ধরতে।অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর মাধ্যমে জানা যায়, ঘটনা জানাজানি হওয়ার আগেই সেটি ধামাচাপা দিতে গভীর রাতে মীমাংসার চেষ্টা চালান স্থানীয় মাতব্বররা। এমনকি বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে বাড়াবাড়ি না করার বিষয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের পক্ষ থেকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মাহবুব হুসাইন ওরফে মাহে আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে নির্দোষ ও চক্রান্তের শিকার বলে উল্লেখ করেন।এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, তিনি প্রথমে বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেন এবং পরে কীভাবে মীমাংসা করা যায় তার উপায় খোঁজেন খোদ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছেই।