ইবির সাবেক উপ-উপাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৯ই আষাঢ় ১৪৩২ দুপুর ০১:১২:৫০ (23-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

ক্যাম্পাস

ইবির সাবেক উপ-উপাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

২৮ মার্চ ২০২৫ দুপুর ০২:৫৯:৩৪

সংবাদ ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিধি: দুদকের করা অবৈধ নিয়োগের মামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত বাকি ২জন হলেন, যবিপ্রবির সাবেক ভিসি ড. মো. আব্দুস সাত্তার এবং উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ।

২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিল করা চার্জশিটের উপর শুনানি শেষে সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম আদালতে এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. মো. সিরাজুল ইসলাম।

জানা যায়, অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো.আল আমিন। মামলার তদন্ত শেষে উল্লিখিতদের অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচনী বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য ড. মো. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় আরও ৩ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কাউকেই পাস করানো হয়নি।

বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক ভিসি ড. মো. আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ