কচুয়ায় বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু পানি, পথচারীদের চরম দুর্ভোগ
কচুয়া (চাঁদপুর ) প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সারা দেশেই থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, সেইসঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। চাঁদপুরের কচুয়ায় পড়েছে এর প্রভাব। বৃষ্টির পানিতে কচুয়া -কালিয়াপাড়া সড়কের রহিমানগর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অচল অবস্থার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের দু'পাশে পানির নিচে তলিয়ে যায়। বৃষ্টি হলে সড়ক যেন পরিণত হয় নদীতে, জমে যায় হাঁটুসমান পানি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা দুর্ভোগে পড়ছেন সবচেয়ে বেশি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বছরের পর বছর ধরে তাদের এমন ভোগান্তি পোহাতে হয়। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ সুব্যবস্থা নেই। এমন পরিস্থিতিতে এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।এ চিত্র কচুয়া -কালিয়া পাড়া সড়কের রহিমানগর দক্ষিণ বাজারের অংশ থেকে শাহারপাড় পর্যন্ত।ওই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে সামান্য বৃষ্টিতেই রহিমানগর এলাকায় সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়ক পরিণত হয় নদীতে। জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি আমরা। সংস্কারের অভাবে কিছু কিছু জায়গায় নালাগুলোতে বন্ধ হয়ে গেছে। নানা কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নালার ময়লা-আবর্জনা বৃষ্টির পানির সঙ্গে সড়কে উঠে আসছে। এ ছাড়াও ভারী বৃষ্টি হলে নালার নোংরা পানি সড়কের পাশের বাড়ি ও দোকানে ঢুকে পড়ছে। সঠিক পরিকল্পনা করে নালাগুলো পুনর্নির্মাণ করে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতেও দাবি জানান তারা।এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন গাড়ির চালকরা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটুসমান পানি জমে যায়। এতে আমাদের খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়। বছরের পর বছর ধরে বৃষ্টি হলেই এই সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও রহিমানগরের ও হাট-বাজারগুলোর জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। ফলে বিপাকে পড়েন মানুষ। বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানাচ্ছি আমরা।এ বিষয়ে কচুয়া নিবার্হী অফিসার ও উপজেলা প্রশাসক মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী মুঠোফোন জানান, অবৈধ দখলদারদের জন্য নালার পানি যেতে পারছে না। আমরা ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের জনদুর্ভোগ লাগবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত এর কাজ শুরু করা হবে।