ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে বোমা ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে মার্কিন বিমান বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।২২ জুন রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টার দিকে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। খবর আল জাজিরা।পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, আমরা ইরানের ফোরডো, নাতানজ এবং এসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফলভাবে হামলা করেছি। বর্তমানে সকল বিমান ইরানের আকাশসীমার বাইরে। ফোরডো পারমাণবিক কেন্দ্রের প্রাথমিক স্থাপনায় পূর্ণ হামলা করা হয়েছে। সকল বিমান নিরাপদে ফিরছে।পোস্টে তিনি আরও লেখেন, বিশ্বের আর কোনও সামরিক বাহিনী এটি করতে পারেনি। আমেরিকান যোদ্ধাদের অভিনন্দন। এখনই শান্তির সময়!গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেবে কি না তা দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এ সময়সীমা পেরোনোর আগেই ইরানে মার্কিন হামলার দাবি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।অপরদিকে মধ্যপ্রাচ্য ও সামরিক বিশেষজ্ঞ সাবিনা আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ প্রসঙ্গে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আজ, আমেরিকা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা: ফোর্ডো, নাতানজ এবং এসফাহানে বিমান হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের B-2 Spirit স্টিলথ বোমারু বিমান এই হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। এই বিমানগুলো মিসৌরির হোয়াইটম্যান এয়ার ফোর্স বেস থেকে ফ্লাই করে, মাঝ আকাশে KC-135 স্ট্র্যাটোট্যাঙ্কার থেকে জ্বালানি নিয়ে ইরানের গভীরে প্রবেশ করে। আমেরিকা B-57 ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (MOP) ব্যবহার করেছে, এগুলো একটি ৩০,০০০ পাউন্ডের বাঙ্কার-বাস্টার বোমা, যা ফোর্ডোর মতো ১০০-৩০০ ফুট গভীরে অবস্থিত স্থাপনা ধ্বংস করতে সক্ষম। নাতানজ ও এসফাহানেও এই বোমা ব্যবহৃত হয়েছে।’তিনি আরও লিখেছেন, ‘ফোর্ডো হচ্ছে ইরানের সবচেয়ে সুরক্ষিত ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট সাইট। একাধিক GBU-57 বোমা ফেলা হলেও, এর গভীর ভূগর্ভস্থ কাঠামো সম্পূর্ণ ধ্বংস করা কঠিন। তবে, এর কার্যক্রম অনেক বছর পিছিয়ে গেছে। নাতানজ ইসরায়েলের পূর্ববর্তী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, আর এবার এই স্থাপনায় আমেরিকার বোমা সেন্ট্রিফিউজ হল ও অবকাঠামো আরও ধ্বংস করেছে। এসফাহান পারমাণবিক গবেষণা ও ইউরেনিয়াম রূপান্তর স্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে, কত দূর রেডিয়েশন লিক হয়েছে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’